সম্মেলনে প্রার্থী হয়ে বিএনপির অন্দরে বিতর্কের জন্ম দিলেন রানা খান শাহিন

মৌলভীবাজার, ২২জুন ২০২৫
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তীব্র আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে রানা খান শাহিনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণার পর। তাকে ঘিরে স্থানীয় রাজনীতিতে ইতোমধ্যেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত রানা খান শাহিন এবার উপজেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যদিও দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘন, অতীত কর্মকাণ্ড এবং জনসমর্থন নিয়ে প্রশ্ন থাকায় তার প্রার্থীতা নিয়ে দলের অভ্যন্তরেই মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।

একাধিক নেতাকর্মী অভিযোগ করেছেন,৫ আগস্ট এর পরে সি-পি বাংলাদেশ (আমতৈল শাখা)নামের একটি কোম্পানি কাছ ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে খবর নিয়ে জানা যায় ৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে পরিবেশ দূষিত হওয়ার অজুহাতে তো প্রতিষ্ঠানের সামনে তার মানববন্ধন করান রানা খান শাহিন পরবর্তীতে তাদেরকে তাদের কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে এবং প্রতিমাসে মাসিক চাদা নির্ধারণ করে তাদেরকে আবার তাদের কার্যক্রম শুরু করার ব্যবস্থা করে দেন রানা শাহিন খান এই নিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে চাপা উত্তেজনা।

এছাড়া গত ১৭ বছর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করেছে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সেই আন্দোলনের অংশ ছিল নির্বাচন বর্জন করা কিন্তু গত ইউনিয়ন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের একাংশের সমর্থনে রানা খান শাহীন নির্বাচন অংশগ্রহণ করেন তিনি বিভিন্ন জনসভায় জনসম্মুখে তিনি মৌলভীবাজার সদর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের সমর্থিত বলে নিজেকে দাবি করেন। আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় অনেক নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও রানা খান শাহীন ছিলেন সাংগঠনিক ব্যবস্থার ঊর্ধ্বে। এছাড়া ২০১৬ সালের পর থেকে তিনি কখনোই রাজনীতির মাঠে কোন মিছিল মিটিং অংশগ্রহণ করেননি। তিনি নিষ্ক্রিয় থেকে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সক্ষতার ছবি ভাইরাল হয়েছে।

এদিকে রানা খান শাহিন সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

দলের একাংশ বলছে, তার প্রার্থীতা দলকে বিভক্তির দিকে ঠেলে দিতে পারে, অন্যদিকে তার সমর্থকেরা মনে করেন, “দলীয় অভিজ্ঞতা ও মাঠ পর্যায়ের সক্রিয়তা” তাকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে প্রমাণ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদর উপজেলা বিএনপির একজন নেতা বলেন রানা খান শাহীন একসময় ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন পরবর্তীতে তিনি বিএনপি রাজনীতিতে জড়িত হন এবং তিনি সক্রিয় ছিলেন কিন্তু ২০১৬ সালের পর থেকে আমরা তাকে আর কখনো আন্দোলন সংগ্রামে পাইনি এবং তিনি অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে শুরু করেন। বর্তমান সময়ে থাকে সদর উপজেলা কমিটিতে এখন সম্মেলনের প্রার্থী হয়েছেন দেখে আমি নিজেও সারপ্রাইজ হয়েছি দল কিভাবে এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তিনি নিজেকে একেবার জেলা সাবেক সভাপতি সাবেক নাসির রহমান সাহেবের সমর্থিত আবার কখনো সাবেক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানের সমর্থিত বলে দাবি করেন।তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি তিনি তাদের কারো সমর্থিত না।

জেলা বিএনপির সাবেক প্রভাবশালী সহ-সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য সদর উপজেলা সম্মেলনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে সম্মেলনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে চাপা উত্তেজনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *